সম্প্রতি ইঁদুরের গাঁজাসেবনের ঘটনা আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে। জানা গেছে, গুদামে বাজেয়াপ্ত গাঁজা খেয়ে নিয়েছে ইঁদুর। আদালতে তা পেশ করতে না পারায় বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে ভারতের মথুরা পুলিশ।
মথুরা পুলিশের একটি বিশেষ ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইক্রোটপিক সাবট্যান্সেস অ্যাক্ট’ বিভাগ চলতি বছরের শুরুর দিকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৫৮১ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। সেগুলি উদ্ধার করে শেরগড় এবং হাইওয়ে থানার অধীনস্থ বেশ কিছু গুদামে রাখা হয়।
গাঁজা উদ্ধার সংক্রান্ত মামলাটি মথুরা আদালতেও ওঠে। সম্প্রতি মথুরা অতিরিক্ত জেলা বিচারক নির্দেশ দেন আদালত উদ্ধার হওয়া গাঁজা পেশ করতে। আদালতে পেশ করার দিন সকালে মথুরা থানার পুলিশকর্মীরা গুদাম থেকে গাঁজা আনতে যান। কিন্তু যেতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। এ
তটা গাঁজার কোনও চিহ্ন পর্যন্ত নেই। মাথায় হাত পড়ে পুলিশকর্মীদের। শুরু হয় চিরুনিতল্লাশি। তাতেই ধরা পড়ে গাঁজা ‘চোর’। বন্ধ, অন্ধকার গুদামের আনাচে-কানাচে ইঁদুরের বাস। পুলিশকর্মীরা বুঝতে পারেন গাঁজা পাতা সাবাড় করেছে তারাই। অগত্যা খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁদের। সত্যি ঘটনা জানানো হয় আদালতেও।
মামলার প্রমাণ সংরক্ষণে অবহেলার কারণে আদালতের তরফে তিরস্কার করা হয় মথুরা পুলিশকে। মথুরা জেলার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পি সিংহ বলেন, ‘‘ইঁদুরের পেট থেকে গাঁজা উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তবে আদালতের নিয়ম মেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের তরফে পরবর্তী শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে ২৬ নভেম্বর।’’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।